তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি -ঃ- রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলোচিত কাউন্সিলর সাবের আলীর বিরুদ্ধে সরকারী সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার এসব সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে পৌরবাসী রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিগত দিনে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপকর্মের চিত্র তুলে ধরে অসংখ্য গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয় এসব প্রকাশিত সংবাদের (কাটিং) কপি অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কেশরহাট পৌর এলাকায় কাউন্সিলর সাবের আলী কুখ্যাত ভূমিদস্যু নামে পরিচিত। সে মোহনপুর উপজেলার কেশর মৌজায় বিএস ১৬৪০, ১৬৫০, ১৬৫১, ১৬২১, ১৬৩৮ দাগ গুলো বাংলাদেশ সরকারের সড়ক ও জনপদ নামে রেকর্ডভূক্ত সম্পত্তি হওয়ার পরেও সেই দাগ গুলোর সম্পত্তি জবরদখল করে ৫ তলা ভীতসহ ভবন ও দোকানপাট নির্মাণ করেছেন। এদিকে এর
মধ্যে ১৬২১ নম্বর দাগ সরকারী প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি ১/৩ নম্বর খতিয়ান যা সাবের আলী ব্যক্তির নামে বিএস রেকর্ডে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। কিন্তু আরএস রেকর্ড অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তির মালিক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, পিতা- খন্দকার ছমির উদ্দিন তাহার নিকট হইতে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ বিভাগ এ্যাকুয়ার করে নিয়েছে। অথচ সরকারী সেই সম্পত্তি বিএস রেকর্ডে ১৬২১নম্বর দাগ সাবের আলীর নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে যা সঠিক নয়। যাহা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়াও কেশরহাটের সরকারী খাস জমি প্রায় ১৭ বিঘা অবৈধ ভাবে দখল করে কাউন্সিলর সাবের আলী প্রায় ২০০টি দোকান, মার্কেট ও ভবন নির্মাণ করেছে, যেখান থেকে তার ভাড়া বাবদ মাসিক আয় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। কাউন্সিলর সাবের আলীর ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। অন্যদিকে এর আগেও গত ৩ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করা হলে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর ১৭ জানুয়ারি অভিযান পরিচালনা করাতে চাইলেও সেই অভিযান সাবের আলীর ক্ষমতার দাপটে বন্ধ হয়ে যায় বলে মনে করছেন পৌরবাসী। এছাড়াও বর্তমানে The Government and local Authority Land and Building (Recovery of Possession) ১৯৭০ এর ৫,৬ এবং ৭ ধারার বিধান ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবিও জানান পৌরবাসি। কাউন্সিলর সাবেরের জায়গায় ভাড়া গ্রহীতা কেশরহাটের মহাসড়ক সংগ্লন্ন মারুফ এন্টার প্রাইজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা তার কাছ থেকে মার্কেটের প্রথম তলা হিরো শোরুমের জন্য ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমরা জামানত বাবদ ১০ লাখ টাকা দিয়েছি এবং প্রতি মাসে ভাড়া হিসেবে তাকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমরা ডিসি স্যারের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। সেখান থেকে নিয়োগ হলেই আমরা অভিযানটি পরিচালনা করবো। এবিষয়ে কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহীদ বলেন, সে জমি দখলসহ নানান অপকর্ম করে চলেছে, সে সাংবাদিকদেরও মারতে ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। সে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেছেন। এগুলো উচ্ছেদের কাজ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। তারা আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। এবিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন অনেক অভিযোগ আসে এই বিষয়টি সঠিক মনে পড়ছে না। আমি বাইরে আছি অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।