স্টাফ রিপোর্টার -ঃ- নাগেশ্বরী সীমান্ত এলাকায় রামখানা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে ১৮টি সংখ্যালঘু পরিবার সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকার প্রদত্ত যে সকল সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ থাকে সে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে সংখ্যালঘু এই ১৮ টি পরিবার কোন রকমের সুবিধা পান না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলার ১ নং রামখানা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সেনপাড়া গ্রামের ১৮ টি পরিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের। এই ১৮ টি পরিবার সরকারি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, ভিজিডি ,ভিজিএফ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার যে টিআর, কাবিখা প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দিয়ে থাকেন তার কোন কিছুরই ছোঁয়া এই এলাকায় লাগেনা।
স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে জানা যায়, পাকিস্তান আমলের তৈরি তাদের একমাত্র উপাসনালয় মন্দিরটি আজও অবহেলিত। স্থানীয় সরকার বা চেয়ারম্যান মেম্বাররা কোন টিআর এর বরাদ্দ বা কাবিখার বরাদ্দ এই মন্দিরটির জন্য প্রদান করেন না। ফলে এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় আছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ জানান – তিনি মেম্বার থাকাকালীন সময় মন্দিরটির সামান্য উন্নয়ন করতে পেরেছিলেন কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বার এই মন্দিরটিকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছেন। এলাকার বাসীর দাবি সরকারের উন্নয়নমূলক যেকোনো বরাদ্দ থাকে তাদের এই মন্দিরটি সংস্কারসহ পুনঃনির্মাণ এবং সরকার প্রদত্ত সকল সুবিধা সমূহ যেন সংখ্যালঘু পরিবারগুলো পায় এর জন্য সরকারের উচ্চ মহলে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।