তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি -ঃ- রাজশাহীর তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সরনজাই ইউনিয়ন (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁনের বিরুদ্ধে নীতিমালা লঙ্ঘন করে সরকারি খাস পুকুর ভরাট, সেখানে দোকান ঘর নির্মাণ এবং দোকান বরাদ্দের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার আইনজীবী জালাল উদ্দিন বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁনকে বিবাদী করে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ইউপির জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার সরনজাই মৌজার অন্তর্গত আরএস ১ নম্বর খতিয়ানে আরএস ৮৪ নম্বর দাগে ২২ শতক আয়তনের পুকুর রয়েছে। সম্প্রতি এই পুকুর ভরাট করে দোকান ঘর নির্মান ও দোকান বরাদ্দের নামে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়। এই পুকুর ভরাটের জন্য পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন(সংশোধন) আইন ২০১০ এর পরিপন্থি। এমনকি দোকান ঘর বরাদ্দ দেওয়ার নামে একাধিক ব্যক্তির কাছে থেকে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বানিজ্য করেছে চেয়ারম্যান। এবিষয়ে সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন বলেন, এই পুকুরে পানি থাকে না, এবং বেশ কয়েক বছর ধরে এক প্রকার ভরাট হয়ে গিয়েছিল। সেখানে পুনরায় ভরাট করে দোকান ঘর নির্মান করা হয়েছে। আপনি দোকান বরাদ্দের নামে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বনিজ্য করেছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এত টাকা নেওয়া হয়নি, ডিসিআরসহ বিভিন্ন খরচ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখানে মার্কেট হলে অনেকের কর্ম হবে, ভালো কাজ করতে গেলে সমালোচনা হবেই।
এবিষয়ে অভিযোগকারী আইনজীবি জালাল উদ্দিন জানান, পুকুরটি ভরাট করায় পরিবেশের ক্ষতি হয়েছ। এমনকি ভরাট করে মার্কেট নির্মান করা হয়েছে। মার্কেটের দোকান ঘর বরাদ্দ দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করেছেন চেয়ারম্যান। এবিষয়ে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীন জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন,তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে
প্রয়োজনে পরিবেশ আদালতে মামলা করা হবে।