1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের মৃত্যুতে দোয়া ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ অবলম্বন করায় ৯ সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার্থী গ্রেফতার রাজশাহী-১ আসনে নৌকার বিকল্প ভাবছে না ভোটারগণ পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভালুকা মুক্ত দিবস উদযাপন আফসার বাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমনে ভালুকা মুক্ত দিবস আজ রংপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হারাগাছ সাহিত্য সংসদের ২২ তম সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত আয়োডিনযুক্ত লবণের আইন ও সচেতনতার পাশাপাশি কার্যক্রম জোরদার করতে সভা অনুষ্ঠিত

ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসব নীলফামারীতে

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৭ ০৫ বার পঠিত

তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি -ঃ- নীলফামারীর ডিমলা অবাধে চলছে ফসলি জমির মাটি কর্তন, বিক্রির মহোৎসব। ভূমি সুরক্ষা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে মাটি-বালু ব্যবসায়ীরা । কৃষি জমি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর পুকুর। এদিকে একের পর এক কৃষি জমি থেকে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ায় কমে যাচ্ছে কৃষি জমি । জমির মালিকেরা মোটা অঙ্কের টাকার লোভে আবাদি জমির মাটি কেটে জমি নষ্টে সহায়তা করছেন। সোমবার (৩০ শে জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে ভাঙ্গারপুল এলাকায় দেখা যায় আবাদি জমির মাটি এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে জমির মাটি-বালু টাকার বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রির দৃশ্য। ওই গ্রামের আইনুদ্দিনের বাড়ির নিকটে ফসলি জমিতে কয়েদিন যাবত চলছে মাটিকাটা ও বিক্রির এই কাজ। ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, জমির মালিক একই গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৫) সহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্যক্তি অর্থের বিনিময় মাটি-বালু বিক্রি করে আসছে। যার কারণে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি । পুকুর খননের নামে মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বহনের কাজে ব্যবহারিত গাড়িগুলোর ফলে চলাচলে নষ্ট হচ্ছে অন্যন্য আবাদি জমি রাস্তা। বিক্রেতা ও ক্রেতারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কোনোভাবেই মাটিকাটা বন্ধ করতে পারছি না। তাই আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে মাটি কতর্ন, বিক্রি ও আবাদি জমিতে পুকুর খননের কাজ বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আবাদি জমিতে পুকুর খননকারী রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাটি কর্তনের বিষয়ে সরকারি অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির মালিক নিজের জমিতে পুকুর কাটবে, এখানে সরকারি কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আমি নিজের জমিতে মেশিন দিয়ে মাটি কাটছি, এখন অতিরিক্ত মাটি বিক্রি করবো। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, এভাবে মাটি কাটার বিষয়গুলো একের পর এক স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে এসব মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না কৃষি জমি। অন্যদিকে ট্রাক্টরের টলিতে দিয়ে মাটি আনা-নেওয়ার ফলে গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। অত্র ইউনিয়নের গাছবাড়ি গ্রামের অটোরিকশা (সিএনজি) চালক মুসলিম উদ্দিন ও ভ্যানচালক ইব্রাহিম মিয়া গাছবাড়ি বাজারের একটি চা স্টলে আলাপকালে বলেন, রাস্তাঘাট যতই ঠিক করা হোক না কেন লাভ নেই, কারণ মাটি বিক্রি বন্ধ না হলে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ হবে না। ট্রাক্টরের কারণে পাকা সড়কের পিচ উঠে যায় ও গর্ত সৃষ্টি হয়। কাঁচা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়, যা দেখার ও বলার কেউ নেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ