বিশেষ সংবাদদাতা -ঃ- কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভায় ৪টি পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ চলছে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো: তাজুল ইসলামের নির্দেশনায় এলজিইডি এই পুকুরগুলোকে জনসাধারনের জন্য বিনোদনমূখী করতে যথাযথ বরাদ্দ দেয়। সেই সুবাধে লাকসাম পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কাজগুলো শুরু হয়। দুঃখজনক হলো, পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়েরের যথাযথ তত্ত্বাবধান না হওয়া এই প্রকল্পগুলো এখন সৌন্দর্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে পুকুরগুলো নিয়ে মেয়র এখন এলাকাবাসীর কাঠগোড়ায় বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
লাকসাম বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জগন্নাথ দিঘী এখন কুচুরীপানা ও মশা চাষাবাদের উৎকৃষ্ট স্থান। অথচ কুমিল্লার ধর্মসাগরের আদলে এই পুকুরটিকে সাজানোর স্বপ্ন ছিলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামের। পশ্চিমগাঁও দরগার পাশে এসি ল্যান্ড খ্যাত পুকুরটিতে নিম্নমানের পাকা ঘাটলা নির্মাণের বিষয়টি দৃশ্যমান। পুকুরটির পাড়ে কোন উন্নয়ন কাজ না করেই ঠিকাদার লাপাত্তা! পুকুর খননের নামে মাটির ব্যবসা করায় আশে পাশের বাড়ীঘর ও রাস্তা এখন হুমকির মুখে। ৪ ঘাটলা দিঘী ও গাজীমুড়ার দিঘীটিও রয়েছে অযত্ম ও অবহেলায়।
অভিযোগ রয়েছে মেয়র মো: আবুল খায়ের পৌরসভার কর্মকান্ডে সময় দেওয়ার চেয়েও নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকেন। তাছাড়া যুবলীগের জেলা ও উপজেলার নেতৃত্ব সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনে তাকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
দেশের প্রায় প্রতিটি বড় কোম্পানীর লাকসাম এরিয়ার সোল ডিস্টিবিউটর তিনি। যাতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ট্রানজেকশন হয়। এর হিসাব নিকাশ ২৪ ঘন্টায়ও তত্ত্বাবধান করাটা কষ্টকর। ফলে পৌরসভার রুটিন ওয়ার্ক ও ফাইল স্বাক্ষর ছাড়া সামাজিক কাজ ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে তত্ত্বাবধানের দারুন ব্যাঘাত হচ্ছে।