তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি -ঃ- রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার আলোচিত মেয়র সাইদুর রহমান ওরফে কুলি সাইদুর মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রী কলেজে নৈশপ্রহরী পদে কর্মরত রয়েছেন। কিন্ত্ত মেয়র নির্বাচিত হবার পর থেকে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে দায়িত্ব পালন না করলেও নিয়মিত বেতনভাতা উত্তোলন করছেন। একাজে তাকে সহায়তা করছে সভাপতি ও অধ্যক্ষ বলে জানান সাধারণ শিক্ষকেরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পৌরবাসীর মাঝে মিশ্রুপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মেয়র নির্বাচিত হবার অনেক আগে থেকেই সাইদুর রহমান মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের নৈশ প্রহরীর চাকরি করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, মেয়র নির্বাচনের প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজয়ী হলে তিনি নৈশপ্রহরীর চাকরি ছেড়ে দিবেন। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নৈশপ্রহরীকে স্যার সম্বোধন করতে হবে না। তবে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে প্রতারণার মাধ্যমে মেয়র হয়েও নৈশপ্রহরীর চাকির করছেন।
জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্ত্ত নৈশপ্রহরীর চাকরি করায় করায় আওয়ামী লীগ তাকে দলীয় মনোনায়ন দেয়নি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদন্দিতা করেন। এতে দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়।নির্বাচনে তিনি বির্তকিত ফলাফলে মাত্র ৬১ ভোটে বিজয়ী হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, মুন্ডুমালা দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভা অথচ দুঃখজনক হলেও সত্যি স্বশিক্ষিত
একজন নৈশপ্রহরীকে স্যার সম্বোধন করতে হয়, এ লজ্জা পুরো পৌরবাসীর। এবিষয়ে মুন্ডুমালা পৌর সচিব আবুল হোসেন মেয়র সাইদুর রহমানের বেতন উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, তিনিপৌরসভা থেকে ৩০ হাজার টাকা করে বেতন উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, শুনেছি তিনি কলেজ থেকে নৈশপ্রহরীর বেতনও উত্তোলেন করেন। সে একই সঙ্গে নৈশ প্রহরীর ও মেয়রের বেতন তুলতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান এটা তার অজানা।এবিষয়ে মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম নৈশপ্রহরীর বেতন উত্তোলনে কথা স্বীকার করে বলেন, হাইকোর্টের নাকি কোন আদেশ আছে সেই বলে বেতন তুলছেন। আদালতের আদেশ কি দেখেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আদেশ দেখিনি, তাহলে একজন ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে কিভাবে চাকুরী ও সরকারি কোষাগার বেতন তুলেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে জানান, সরকারি কোষাগার থেকে বেতন দেওয়া হয়না, কোন ফান্ড থেকে দেওয়া হয় প্রশ্ন করা হলে কোন সদোত্তর না দিয়ে বলেন, সাইদুরের পরিবর্তে অন্য একজন ডিউটি করেন। এবিষয়ে জানতর মেয়র সাইদুর রহমানের ব্যক্তিগত ০১৭১৬-৬৯৫৪৫৫ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, আমার জানা মতে সরকারি কোষাগার থেকে একব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানের বেতন তুলতে পারেন না। তারপরও স্থানীয় মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।