তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি -ঃ- রাজশাহীর তানোরে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত অবৈধ সেচ মটর স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রেশিয়ানের মদদে বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় দশের বোরিং করা হয়েছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) বাতাসপুর শ্বশান ঘাটে অবৈধ এই বোরিং করা হয়েছে। এ ঘটনায় গভীর নলকুপের স্কীমভুক্ত কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) বাতাসপুর নাড়িপাড়া গ্রামের ময়েজ মাস্টারের পুত্র মোমেন আলী সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত শ্মশানঘাট মাঠে মিনি ডিপ স্থাপনের জন্য দশের বোরিং করেছেন। এদিকে অবৈধ এই মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পল্লী বিদ্যুৎ পোল বসানোর কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১১ জানুয়ারী বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, বাতাসপুর শ্বশানঘাট মাঠে দশের বোরিং করা হয়েছে। বেশকিছু কৃষক জানান, এই মিনি ডিপ বসানো হলে গভীর নলকুপের ক্ষতি হবে।
জানা গেছে বিগত ২০১৪ সাল থেকে উপজেলায় সেচ কমিটির অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। এই অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে নিচে নেমে যাওয়ায় মটর স্থাপন নিরুৎসাহিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়। ফলে উপজেলা সেচ কমিটি নতুন সেচ মটর বা মিনি ডিপ স্থাপন বন্ধ করে দেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কথিত ইলেক্ট্রেশিয়ান যোগসাজশ করে শত শত অবৈধ সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। এবিষয়ে মোমেন জানান, সেচের প্রয়োজন এজন্য বোরিং করা হয়েছে, দুএকদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে। সেচ কমিটির অনুমোদন আছে কি জানতে চাইলে তিনি জানান, টাকা থাকলে সব অনুমোদন হয়ে যায় আমার টাও হয়েছে। এবিষয়ে তানোর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম কামাল হোসেন জানান, বিদ্যুৎ নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করা হয়, সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ হবে না। এবিষয়ে বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, সেচকমিটি দীর্ঘদিন ধরে মটর স্থাপন বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও এসব হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, একটি মটরের অনুমোদন দেওয়া আছে, তবে সেটা কোনটি অফিস সময় দেখে বলা যাবে। তবে সেচ কমিটির অনুমতি ছাড়া কেউ সেচ মটর বা ডিপ স্থাপন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।