1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের মৃত্যুতে দোয়া ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ অবলম্বন করায় ৯ সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার্থী গ্রেফতার রাজশাহী-১ আসনে নৌকার বিকল্প ভাবছে না ভোটারগণ পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভালুকা মুক্ত দিবস উদযাপন আফসার বাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমনে ভালুকা মুক্ত দিবস আজ রংপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হারাগাছ সাহিত্য সংসদের ২২ তম সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত আয়োডিনযুক্ত লবণের আইন ও সচেতনতার পাশাপাশি কার্যক্রম জোরদার করতে সভা অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৮৬ ০৫ বার পঠিত

একেএম বেলাল উদ্দিন, চকরিয়া প্রতিনিধি -ঃ- কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম বানিয়ারছড়া এলাকার হতদরিদ্র মেস্ত্রী মনজুর আলম পরিবারের ৮ সদস্যের ঘানি একাই টানতে পারছিলেন না। বৃদ্ধ বয়সে এসেও তিনি একাই পরিবার সদস্যদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এরই মধ্যে বেশিরভাগ সময় কাজ না থাকায় বেকার থাকতে হতো। এই অবস্থায় পেশা বদল করে তিনি ইজিবাইক (টমটম) চালানো শুরু করেন।

এভাবে তিনি পরিবার সদস্যদের মুখে দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করছিলেন। কিন্তু সন্তানদের ভবিষ্যত চিন্তা করে মেঝ ছেলে শওকত মিয়াকে মাত্র গতমাসে ডিসেম্বরের ১১ তারিখ দুবাইয়ে প্রবাস জীবনে পাঠিয়েছেন পরিবারে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফেরানোর আশায়। কিন্তু মাস না যেতেই তার মৃত্যুর খবর আসলো বাড়িতে।

পরিবার সদস্যরা জানান, গতকাল সোমবার ভোরের আলো ফোটার সাথেই দুবাই থেকে বাবা মনজুর আলমকে ফোনে জানায়, শওকত ঘুমের মধ্যেই মারা গেছে।

শওকতের বৃদ্ধ বাবা মনজুর আলম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলের কোন অসুখ ছিল না। এর পরও সে কেনো ঘুমের মধ্যেই মারা গেল। সেটা আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমার এক বুক আশা ছিল, শওকত বিদেশ গিয়ে কষ্ট করে টাকা উপার্জন করবে। কয়েকবছর পর সেই উপার্জনের টাকা দিয়ে নতুন করে বাড়ি নির্মাণ করবো। কিন্তু দুবাই যাওয়ার একমাস না হতেই কেনো আমাকে তার মৃত্যুর সংবাদ শুনতে হলো।

তিনি বলেন– আত্মীয়–স্বজনদের কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেনা করে শওকতকে দুবাই পাঠিয়েছি। সেখানে দর্জির কাজ করার জন্য বড় কন্যার জামাতা মোহাম্মদ হোসেন ভিসার ব্যবস্থা করেন। ঠিকমতো দুবাই পৌঁছে বোন জামাই হোসেনের সঙ্গেই দেরাতে থাকতো সে। সোমবার ভোরে মেয়ের জামাই ফোন করে জানায়, শওকত ঘুমের মধ্যেই মারা গেছে। সে না–কি ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক করেছে। এই কথা শোনার পর আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, পরিবারটি খুবই অসহায়। প্রবাসে যাওয়ার একমাস না পেরোতেই শওকতের মৃত্যুর খবরটি আমিও শুনেছি। দুবাই থেকে শওকতের লাশ দেশে আনতে যথাযথ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, দুবাইয়ে কর্মরত থাকাবস্থায় চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা শওকত নামের এক যুবক ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন বলে শুনেছি। সেখান থেকে তার মরদেহ দেশে আনার ক্ষেত্রে পরিবার আবেদন করলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ