কুমিল্লা সংবাদদাতা -ঃ-নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আক্রমণের শিকার উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের দেওভান্ডারে গ্রামের সৈয়দ এহতেশাম হায়দার রুবেল এখন টক অব দ্যা নাঙ্গলকোট ।
রুবেল সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সৈনিক । চলতি ইউপি নির্বাচনে দৌলখাঁড় ইউনিয়নে স্বতন্ত্রভাবে ঢোল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন । একই গ্রামে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন খন্দকার সাইফুর রহমান বাবলু ।
সামসুদ্দিন কালু উপজেলা আওয়ামী লীগের পকেট কমিটির সভাপতি হয়ে কাজ দেখাতে গিয়ে রুবেলকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন ।
গত সোমবার কালু তার এক আত্মীয়কে দিয়ে রুবেলের ঢোল প্রতীকের প্রচারণার মাইক ভাংচুর করান । আইনি প্রতিকারের জন্য রুবেল পরের দিন মঙ্গলবার নাঙ্গলকোট থানায় যায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আচরণ বিধির অভিযোগ দাখিল করে বের হতেই সাইফুর রহমান বাবলু’র ভগ্নিপতি দেখেই কালুকে জানান ।
কালু রুবেলকে ডেকে তাঁর গাড়িতে উঠতে নির্দেশ করেন ।
রুবেল মতিগতি খারাপ দেখে গাড়িতে উঠতে অনীহা দেখান ।
এরপর কালু তাঁর বাহিনীর প্রধান পৌর কাউন্সিলর জহিরুল্লাহ মজুমদার সুমনকে ইশারা করলে সুমন রুবেলকে ধাক্কা মেরে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে শুরু হয় হাতাহাতি । কালু চেয়ারম্যানও রুবেলকে মারধর শুরু করেন ।
সৈয়দ এহতেশাম হায়দার সেনাবাহিনীর কমান্ডো ট্রেনিং করা সৈনিক । আত্মরক্ষার চেষ্টায় । এতে সামান্য আহত হন উপজেলা চেয়ারম্যান কালু ও সুমন ।
এরপর কালু’র ড্রাইভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মেহবুব এর নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার বাহিনীর হাতে রোল ( লাঠি ) দিয়ে রুবেলকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে । এতে রুবেলের বাম হাত ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ।
রুবেল আত্মরক্ষার্থে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারলে কালু ও সুমনের নাকমুখ ফেটে যায় ।
কালু ও তার সন্ত্রাসীরা রুবেলকে রুমে ডুকানোর অনেক চেষ্টা করেছিল ।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, যদি কোনোভাবে ডুকাতে পারতেন তাহলে রুবেলকে জানেই মেনে ফেলতেন । ঘটনার সত্যতা কেউ স্বীকার করতে না চাইলেও পুরো ঘটনা উপজেলা নির্বাহীর সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা আছে ।
রুবেলের হাত ভেঙে চুরমার হয়েছে এলাকাবাসী সেটা নিয়ে মাতামাতি না করে বরং রুবেলকে টাইগার খ্যাতি দিচ্ছেন । কারণ, নাঙ্গলকোটের গডফাদার খ্যাত কালু’র নাকমুখ ফাটানো চাট্টিখানি কথা না ! তাই “রুবেল এখন টক অব দ্যা নাঙ্গলকোট” ।