তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি -ঃ- রাজশাহীর তানোরে জালিয়াতি করে আদালতে বিচারাধীন খ তফসিল ভুক্ত সম্পত্তিকে ক তফসিলভুক্ত দেখিয়ে চেক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সম্পত্তি রক্ষায় অসহায় কৃষক লতিফ দিগর প্রয়োজনীয় কাগজসহ উপজেলা কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, মাদারীপুর গ্রামের প্রয়াত আফতাব মাস্টারের পুত্র আসাদুজ্জামান পাইলট ওই সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা করেন। তবে আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন। কিন্ত্ত পাইলট মামলায় পরাজিত হয়ে ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন যাহা চলমান রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার মাদারিপুর গ্রামের জমসেদপুর মৌজায়, আরএস ২৫ নম্বর খতিয়ানে ও আরএস ৩৬ নম্বর দাগে ১৭ শতাংশ জমি রয়েছে যাহা খ তফসিলভুক্ত। কিন্ত্ত মাদারীপুর মৌজার ক তফসিলভুক্ত সম্পত্তিকে জমসেদপুর মৌজার ক তফসিল ভুক্ত দেখিয়ে চেক প্রদান করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ভূমি অফিসের নাজির সাদিল এই চেক প্রদান করেছেন। অথচ এসব সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মাদারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জমিটি পতিত হয়ে পড়ে রয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি গাছ কেটে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য সেখানে ইট এনে জমা করা হয়েছে। এ সময় কথা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, খলিলুর রহমানসহ কয়েক বয়োজৈষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে,তারা বলেন,এই জায়গার প্রকৃত মালিক
লতিব দিগর। তারা আরো বলেন, লতিবের এই জায়গা নিয়ে তাদের অন্য জায়গা দিয়ে বিনিময় করেছিলেন পাইলটের পিতা প্রয়াত আবতাব মাস্টার। কিন্ত্ত লতিবকে দেয়া জায়গা গোপণে অন্যর কাছে বিক্রি করে দেন পাইলটরা। অথচ এখন লতিবের জায়গা জবরদখল করতে চাই পাইলটরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে নাজির সাদিল বলনে, এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, তার দায়িত্ব পালন করছেন সার্টিফিকেট সহকারী ফিরোজ কবির। এবিষয়ে ফিরোজ কবীর বলেন, কাগজমুলে তাকে চেক দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান পাইলট এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের নামে চেক কাটা আছে জায়গাটি তাদের, অথচ লতিবরা অযথা তাদের মান ক্ষুন্ন করছেন। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আদিবা সিফাত বলেন, তিনি প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তিনি বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে শুনানীর পর চেক কাটার কথা বলা হয়েছে।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।