রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধি -ঃ- হলফনামা ঘেঁটে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার সম্পদের দিক থেকে পিছিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। সদ্য বিদায়ী এই মেয়র রংপুর মহানগরীর কলেজ রোডের বাসিন্দা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। তিনি পেশার স্থলে লিখেছেন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নিজ নামে কৃষি খাত, দোকানঘর, ব্যবসা, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য খাতে আয় নেই। তবে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাৎসরিক আয় আছে। তার কাছে নগদ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর কাছে ৯০ হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত নিজ নামে ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ২৯৪ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে।
মোস্তফার নিজ নামে ১ লাখ টাকা মূল্যের বন্ড, ঋণপত্র, কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের তার একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। নিজ নামে ৫০ হাজার মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, স্ত্রীর রয়েছে ১৫ ভরি স্বর্ণ, ২ লাখ টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের নিজ নামে আসবাবপত্র। মোস্তফার কৃষি ও অকৃষি জমি নেই। স্ত্রীর নামে ৪ শতক জমির উপর একটি দালান রয়েছে। এছাড়া জনতা ব্যাংকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ গত ১০ নভেম্বর পরিশোধ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া রংপুর মহানগরীর জিএলরায় রোডের বাসিন্দা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (এলএলবি)। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। ডালিয়ার বাৎসরিক কৃষিখাতে ৪২ হাজার টাকা, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা, আইন পেশা থেকে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে ৯৫ হাজার ৪০ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা আয় করেন।
তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯২৪ টাকা, ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের খাট, আলমারি রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩০ শতক কৃষি জমি, ৩ শতক এবং ৩ কাঠা অকৃষি জমি, ৩ শতক জমিসহ ৪ তলা আবাসিক বাড়ি রয়েছে। তার নামে কোনো ঋণ ও মামলা নেই।