রাজশাহী প্রতিনিধি -ঃ- রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) খলিলুর রহমান জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর সোমবার এলাকাবাসি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিলকে নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, আবার অনেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।অভিযোগে বলা হয়েছে, গুরুত্বসহকারে যাচাই-বাছাই করলে খলিলের সনদ জালিয়াতির প্রমাণ মিলবে। তাই সনদ যাচাই-বাছাই করা পর্যন্ত তার বেতন বন্ধ রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, কমিটিকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে জাল সনদে খলিল চাকরি নিয়েছেন। কিন্ত্ত তিনি টাইম স্কেলের জন্য আবেদন জমা দিলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এবং খলিলের টাইম স্কেল আটকে যায়। এর পর বিষয়টি গোপণ করে খলিল এখানো চাকরি করছেন। এমনকি তিনি কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী নন। ফলে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার স্কুলের অফিসিয়াল কাজ বাইরের কম্পিউটার দোকান থেকে করায়,স্কুলের অনেক গোপণ তথ্য বাইরের মানুষের হাতে চলে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, জাল সনদের কারণে খলিলের টাইম স্কেল হয়নি, সেটা স্কুলের সবাই জানেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে খলিলুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ইচ্ছে করেই টাইম স্কেলের আবেদন করেননি। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, অনেকে তাকে মুঠোফোনে এই ঘটনা বলেছেন, তবে তথ্য-প্রমান ছাড়া তো কিছু করা যায় না। এবিষয়ে স্কুলের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।