তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি -ঃ- রাজশাহীর তানোরে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি খাস সম্পত্তি থেকে প্রায় শতবর্ষী বট গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মাঝে চাঁপাক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা ঘটনাকে গাছ খেকো শিক্ষকের কান্ড বলে অবিহিত করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম গৌতম কুমার পাল তিনি উপজেলার কামারগাঁ ইউপির
শ্রীখন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) শ্রীখন্ডা পালপাড়া মৌজায় সরকারি রাস্তার পাশে প্রায় শতবর্ষী বয়সী
তাজা বড় বটগাছ রয়েছে। গত ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার স্কুল শিক্ষক গৌতম তার লোকজন দিয়ে বটগাছ কাটা শুরু করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বয়োজৈষ্ঠ প্রতিবেশী বলেন, গৌতম কুমার পালের বাড়ির পাশে সরকারি রাস্তা রয়েছে, যা সে নিজে ভোগদখল করে আসছে। এর আগেও সে গাছ কেটে বিক্রি করেছে, তবে বিত্তশীল ও তার পেশী শক্তির ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না, আমরা গ্রামের মাটি মাপ যোক করে দেখেছি গাছটি সরকারি রাস্তার ভিতর পড়েছে।
এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন কামারগাঁ ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) কাউসার আলী শিক্ষক গৌতম কুমার পালকে গাছের ডালপালা ও গাছ কাটতে নিষেধ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে ডাকেন। কিন্ত্ত তিনি কাগজপত্র নিয়ে আর অফিসে আসেননি।
এ বিষয়ে কামারগাঁ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) কাউসার আলী জানান, তিনি গত ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে সরকারি জায়গা থেকে তাজা বড় বট বা পাইকড় গাছ কাটার সংবাদ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় শিক্ষক গৌতম কুমারের নির্দেশে তার লোকজন গাছের ডাল-পালা কাটছিলো। তিনি তাদের ডাল-পালা ও গাছ কাটতে নিষেধ করে কাগজপত্র নিয়ে তাদের অফিসে আসতে বলেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক গৌতম কুমার পাল বলেন, গাছটি তার নিজের জায়গাতে রয়েছে। তবে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।