নোয়াখালী প্রতিনিধি -ঃ নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের বিতর্কিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জান পলাশ এর হাত ধরে সেল্ফী লীগের সুন্দরী ললনা লম্পট ও দুঃচরিত্র হাফিজা হেলাল একের পর এক ঘটনা, জোর করে প্রতিবেশীর জায়গা দখল গাছ কাটা সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে মধ্য যুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে গাছ কাটার ঘটনাটি। গতকাল দেশবাসী দেখেছে একটি গাছের বাগান চেয়ারম্যান পলাশের নেতৃত্বে এক দল মাস্তান অস্র-সশস্রে সজ্জিত হয়ে কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের আর্তনাদে এলাকার লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে এ অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এগিয়ে এসে প্রতারক পলাশ ও তার দেহরক্ষী হাফিজা হেলাল বেবীকে আটক করতে সক্ষম হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে এমন সময় একটি অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সেখানে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বহু নেতা কর্মী পুলিশ সহ হাজির হয়ে জনরোষ থেকে চেয়ারম্যান পলাশ ও হাফিজা হেলালকে উদ্ধার করে। জোর করে অন্যের জমিন দখল করে বাগান কেটে রাস্তা তৈরি করতে এ অপকর্মটি করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে। হেলেনা জাহাঙ্গীর পরীমণি সাবরিনাসহ নানা অপকর্মে লীপ্ত হয়ে অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু সেনবাগে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে হাফিজা হেলাল বেবী নিজেকে আরো ভয়ংকর ললনা ও বারবণিতা হিসেবে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়টি হল ভুক্তভোগী পরিবার বেলায়েত হোসেন স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম প্রভাবশালী দুর্বৃত্ত চক্রের কারনে সেনবাগ থানায় একটি মামলা কিংবা জিডি করারও সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পলাশ ও হাফিজা উল্টো হুমকি দিচ্ছে বেলায়েত ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা এবং তাদের একমাত্র সন্তানকে হত্যা ঘুম ও গুলি করে নাম নিশানা মুছে দেওয়ার।
ভুক্তভোগী পরিবারটির আওয়ামী পরিবারের সমর্থক হয়েও পায়নি কারো সাহায্য সহযোগীতা। এ যেন বিচারের বাণী নির্বৃত্তে কাদেঁ। স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব মোরশেদ আলমের পরিচ্ছন্ন ইমেজের নাম বিক্রি করে চেয়ারম্যান পলাশ ও হাফিজা হেলাল একের পর এক বিতর্কিত ও লাম্পট্যপনা বেহায়পনা চালিয়েই যাচ্ছে। সুন্দরী বিধবা হাফিজা হেলাল বেবীর রুপে মগ্ন পলাশ আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে অপকর্ম চালাবে আর কত দিন। যুবলীগ ছাত্রলীগের বিগত দিনে নানা অর্জন চুরমার করে দিয়েছে পলাশ ও হাফিজা হেলাল বেবীর অবৈধ অপকর্মে যোগদানের মধ্যদিয়ে।
সুন্দরী হাফিজাকে রাজনীতিতে সেনবাগের মানুষ কোনো দিন দেখেওনি এ নামটিও কেউ শোনেনি। উপজেলা নির্বাচনে সময়ে বিধবা ললনা এ মক্ষীরাণীকে সেনবাগ আওয়ামী লীগের কতিপয় কয়েকজন বিতর্কিত নেতা রাজনীতিতে নিয়ে আসে । ঠিক এখানেই হাত বসায় মোবাইল মেকার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান পলাশ।
এখন আবার নতুন টোপ হিসেবে মাঠে নামিয়েছে হাফিজা হেলাল বেবীর সুন্দরী মেয়ে দুর্ধর্ষ স্বভাবের ও চরিত্রের অধিকারী টগবকে শামিমা আক্তার তথাপিকে।হাফিজা বুজে গেছে রাজনীতি করতে পুঁজি হিসেবে দেহটাই আসল।
হাফিজা দলীয় বহু লোকের সাথে এবং অনেক নেতা কর্মীর সাথে ছবি তুলে নিজেকে নিজেই পরিচয় দিয়েই থাকলেও দলীয় কোনো পদে নেই তার নাম। কয়েকজন নেতা কর্মী তার এসব অপকর্মে চরম ভাবে লজ্জীত ও বিব্রত।
অন্যের জমিন দখল করে দলীয় লোক ও প্রশাসন ব্যবহার করে অসংখ্য গাছ কেটে নজিরবিহীন তান্ডবের বিরুদ্ধে প্রশাসনসহ সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কয়েকটি মানবাধিকার পরিবেশ সংগঠন।