তপন দাস, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি -ঃ দীর্ঘ ৫ বছর পর নিখোঁজ মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে শফিয়ার রহমান (৩৪) ( আঙ্গীর পাগেলা) কে খুজে পেলেন নীলফামারীর রসিদা বেগম(৫৬) মানসিক ভারসাম্যহীন শফিয়ার রহমান নীলফামারী সদর উপজেলার ৪ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নটখানা গ্রামের মৃত এরফান আলী ও রসিদা বেগমের ছেলে এবং তাদের ৩ ছেলের মধ্যে শফিয়ার রহমান ( আঙ্গীর পাগেলা ) সবার বড়।
এবিষয়ে মানসিক ভারসাম্য হীন শফিয়ার রহমানের অভাগিনী মা রসিদা বেগমের সাথে কথা হলে সন্তান কে কাছে পেয়ে আনন্দফিত হয়ে তিনি বলেন ৫ বছর পর মুই আইজ মোর পাগেলা বেটাক খুঁজি পানু ফিটু নামের একটা মানুষের জন্যে তাক কি কয়া যে ধন্যবাদ দেইম ভাষা খুঁজে পাওচো না , ফিটু ভালো একটা মানুষ তার জন্যে মুই আল্লাহর কাছোত অনুরোধ করো তাক ( ফিটু ) যেন যুগ যুগ ধরে বাচি রাখে সে দীর্ঘায়ু হোক ।
এদিকে মানসিক ভারসাম্য হীন শফিয়ার রহমানের সংবাদ দাতা ” মানবিক সহায়তা সেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আব্দুল গনি ফিটুর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি দীর্ঘ ১ বছর ধরে এই মানসিক ভারসাম্য হীন মানুষদের নিয়ে কাজ করছি আর আজ পযন্ত নীলফামারীর শফিয়ার রহমান সহ ৫০ জন মানসিক ভারসাম্য হীন মানুষ কে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে ৯৯৯ এন সহযোগিতা নিয়ে তাদের কে তাদের বাড়িতে পৌনছে দিতে সক্ষম হয়েছি। শফিয়ার রহমানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন শফিয়ার রহমান বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এলাকায় ঘুরতে দেখে আমি গত জুন মাসের ১৫ তারিখে আমার সংগঠনে নিয়ে আসি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ করে তার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে ৯৯৯ এর মাধ্যমে নীলফামারী থানার ওসি সহযোগিতায় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মমতাজ আলী প্রামানিকের মধ্যে শফিয়ার রহমান কে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করি।
এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ওসি সাথে ফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে ফোন ব্যস্ত থাকার কারনে তার কোন বক্তব্য নেয়া যায় নি
এদিকে ৪ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মমতাজ আলী প্রামানিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন শফিয়ার রহমান আমার এলাকার মৃত এরফান আলী ও রসিদা বেগমের বড় ছেলে সে একজন মানসিক ভারসাম্য হীন রোগী সে হঠাৎ করে গত ২০১৭ সালে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাকে অনেক খুঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় আমরা ভেবেছিলাম সে মারা গেছে , তবে গত ২০ জুন নীলফামারী সদর থানা থেকে আমাকে ফোনে অবহিত করেন রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার গোলাবাড়ি নামক স্হানে মানসিক ভারসাম্য হীন রোগীদের নিয়ে কাজ করা ” মানবিক সহায়তা সেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশন ” নামে একটি ফাউন্ডেশনে সে আছে ( শফিয়ার রহমান) তখন আমি সেই ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল গনি ফিটুর সাথে কথা বলে ভিড়িও কলের মাধ্যমে শফিয়ার রহমান কে তার মা রসিদা বেগম চিন্তে পারায় আমি সবধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ তাকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করি এবং আব্দুল গনি ফিটুকে আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই যে তিনি এমন একটি সংগঠন করে অসহায় ভারসাম্য হীন নিখোঁজ মানুষদের কে তাদের পরিবারের কাছে পৌনছে দেয়ার জন্য ।