মিরু হাসান, বগুড়া সংবাদদাতা -ঃ- বগুড়া জেলা অ্যাডভোকেটস্ বার সমিতি বা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল ১৩টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ ১১টিতে জয়লাভ করেছে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই প্যানেলের মধ্যে ‘মতিন-রোমান পরিষদ’ সভাপতি এবং একটি সদস্যসহ মাত্র দুইটি পদে জয় পেয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা জেষ্ঠ্য আইনজীবী বিনয় কুমার ঘোষ রজত শুক্রবার রাত পৌণে ১২টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
চুড়ান্ত সেই ফলাফলে অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘মন্টু-নবাব’ নামে অপর প্যানেলের কোন প্রার্থীই জয়লাভ করতে পারেনি। পরাজিত হয়েছেন বাম দলগুলোর সমর্থনপুষ্ট ‘বাম গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির ‘পল্টু-ববি’ প্যানেলের প্রার্থীরাও।
সভাপতি পদে বিজয়ী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আব্দুল মতিন পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের আতাউর রহমান খান মুক্তা পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। মাত্র এক ভোটে নিজেদের প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের পক্ষ থেকে ওই পদে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন জানানো হয়। তবে গঠনতন্ত্রে ভোট পুনরায় গণনার কোন বিধান না থাকায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তা বাতিল করে দেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের আব্দুল বাছেদ পেয়েছেন ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের এএইচএম গোলাম রব্বানী রোমান পেয়েছে ২০২ ভোট।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে নির্বাচিত দুই সহ-সভাপতি হলেনঃ মাসফিকুর রহমান তালুকদার রুবেল ও সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক। যুগ্ম সম্পাদক পদে বিজয়ীরা হলেনঃ আনিমুল ইসলাম শাহীন ও মাহবুবা খাতুন সুখী। ওই প্যানেল থেকে লাইব্রেরী ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে উজ্জ্বল হোসেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে গোলাম মোস্তফা মজনু এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুস সালাম, সিরাজুল ইসলাম এবং সাইফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে বেবী খাতুন নামে অপর একজন নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবার বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে একটি প্যানেল দেওয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ একক প্যানেল দিতে ব্যর্থ হয়। যে কারণে এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার ঘোষ রজত জানান, মোট ৭৭৮জন ভোটারের মধ্যে ৭৫৪জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।