রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধি -ঃ রংপুরের বদরগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটের ছুরিকাঘাতে নিহত তারমিনা আক্তার ফুলতির লাশ গতকাল রোববার রাতে দাফন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে গাজিপুরের কালিয়াকৈর থেকে হত্যাকারী সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করেছেপুলিশ।রাত সাড়ে আট টায় বদরগঞ্জের লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানোগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।এর আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে লাশ গ্রামে পৌঁছলে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ লাশ দেখতে সেখানে জড়ো হয়।কান্না-হাহাকার আর শোকের আস্তরণে ঢেকে যায় পুরো গ্রাম।তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে এলাকাজুড়ে।ঘটনার ৪ দিনেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে নিহতের পরিবার সহ এলাকা বাসী।তাদের দাবী আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক।
নিহত ফুলতির মামা শরিফুল ইসলাম বলেন,আসামি এখন পর্যন্ত বাইরে কেন? তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
পরিবারের তিনবোনের মধ্যে সবার ছোট আদুরে ফুলতির এমন মৃত্যুতে শোকে পাগল তার মা পারভীন বেগম।তিনি বলেন ‘যাঁয় মোর মাওক মারি ফেলাইছে তার ফাঁসি দেও তোরা’ কথা বলতে বলতে কন্ঠ থেমে যায়।বাকরুদ্ধফুলতির পিতা তোয়াব আলী বলেন,এই মুহুর্তে কথা বলার শক্তি নেই তার।
বদরগঞ্জের ১৫ নং লোহানীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রকিব হাসান ডলু শাহ জানান,এমন ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমি নিহতের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।তাদের যেকোন সহায়তায় তিনি পাশে আছেন বলেও জানান।
প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় নিজ ঘরে ছুরিকাঘাতে নিহত তারমিনা আক্তার ফুলতি হত্যার মূল আসামী সাখাওয়াত কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান।তিনি জানান,সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশের একটি দল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে মূল আসামী সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করেছে।এবং আসামিকে রংপুরে আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত,প্রেমের প্রস্তাবে সারা না পাওয়ায় গত ২৮ জুলাই সকালে বাড়ীতে ঢুকে পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা এলাকার মৃত মোনায়েম হোসেনের বখাটে ছেলে শাখাওয়াত ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে ফুলতিকে।পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।৪ দিন পর গত কাল রোববার সকালে ফুলতির মৃত্যু হয়।