জুয়েল খাঁন, ভ্রাম্যমান (খুলনা) প্রতিনিধি -ঃ- খুলনার দাকোপে শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে দেখা যায় সঠিক নিয়মে বিদ্যালয় চলে না। নিয়মিত জাতীয় সংগীত হয় না। ছাত্রী সংখ্যা ও নগন্য। আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে মোঃ সোহেল হোসেন শিক্ষা কর্মকর্তা , দাকোপ জানেন কি না মর্মে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক চিত্ত রঞ্জন রায় কিছু সময় নিরব থেকে রাগান্বিত সুরে বলেন,”আমি অতো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না, আর জানিনা আমি” । সভাপতি পরীক্ষিত রায় বলেন, ” ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য” । আর্থিক লেনদেন বিধিসম্মত কি না জানতে চাইলে বলেন, ” বিদ্যালয়ের কাজে লাগলে বিধিসম্মত আর ব্যাক্তিগত কাজে লাগলে বিধিবহির্ভূত । তবে টাকাগুলো প্রধান শিক্ষক,টি,আর ৩ সদস্য ও দাতা সদস্য অশোক মন্ডল এবং নরেন মন্ডলের কাছে আছে” । সচেতন মহল জানায়,হেডস্যার ও কমিটির কয়েকজন স্কুলটা লুটেপুটে খাচ্ছে।সকল স্কুলে কমিটি গঠন ও নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে।নিজ লোক কমিটিতে আনলে নিয়োগ বাণিজ্য সফল হবে। তাই দূর্নীতি করে কমিটি গঠন করা হয়। আর তার সাথে শিক্ষা কর্মকর্তা জড়িত। শিক্ষা কর্মকর্তা সম্মতি না দিলে কোনো ভাবেই এগুলো হতে পারে না। বড়ই দুঃখের বিষয় শিক্ষিত লোকের ভিতর যদি মুর্খতা প্রকাশ পায় তাহলে বলব কাকে ? শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ” আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা ” । শিক্ষিত সমাজ অনতিবিলম্বে এর প্রতিকার চান। তবেই শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হবে।