1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক ও মৎস্য চাষী

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১
  • ১৬২ ০৫ বার পঠিত

জাহাঙ্গীর আলম (মুকুল), ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি -ঃ ডুমুরিয়া উপজেলায় গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে কয়েকটি বিলে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সেই সাথে তলিয়েছে মৎস্য ঘের। একদিকে যেমন চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষ করা নিয়ে শংকায় রয়েছে কৃষকরা।অন্যদিকে মৎস্য ঘের মালিকদের ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার। সরেজমিনে শোলাকুড়ি,পাঠন পাড়া, ভায়নার বিলে গেলে দেখা যায় জলাবদ্ধতা। এই সকল বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে যায় ভদ্রা ও বুড়ি ভদ্রা নদীতে। সেই পানি অপসারনের পথে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বাঁধ। এছাড়াও চুকনগর যশোর রোডের পাশে রয়েছে শোলাকুড় বিল এই বিলের সব পানি নিষ্কাশন হয় ভদ্রা নদীতে।সেই পানি নিষ্কাশনের জায়গাগুলো এখন দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী মহল। পানি নিষ্কাশনের জায়গাগুলো দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন সহ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। যে কারনে এই বিলে আমন ধান চাষ করা নিয়ে মহা বিপাকে রয়েছে কৃষকরা। জমির মালিকদের সাথে কথা বললে প্রায় সকলেই এই বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করার জন্য দাবি জানান।সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিলে জানাযায় চলতি মৌসুমে আমন চাষ হয় ১৫৫২৫ হেঃ জমিতে।যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা থাকে ৬৯৮৬২ মেঃ টন।পানি নিষ্কাশন না হলে ধান উৎপাদন কম হবে বলে জানাযায়।অফিস সূত্রে জানাযায়,ভারী বৃষ্টির কারনে ২৬৫০টি ঘের ও ২৩০ টি পুকুরের ৮৭ মে.টন চিংড়ি ২.২৫ কোটি চিংড়ি পোনা ও ৫২ মে.টন অন্যান্য মাছ ভেসে গেছে। ৫০ টি কাঁকড়া খামার এই জলাবদ্দতার কারনে তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমান ৭ কোটি টাকা। এই কারণ হিসাবে সকল চাষী সহ স্থানীয়রা সকলেই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা না করাকেই দায়ী করছেন।খোঁজ নিলে আরো জানাযায়,দেশের গলদা উৎপাদনের ১৯ ভাগ এই উপজেলাতেই হয়। আর জেলার উৎপাদনের মধ্যে ৬০ ভাগ হয় অত্র উপজেলাতে ।গত অর্থ বছরে ৬৬৯৫ মে.টন মাছের চাহিদা ছিল তার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ১০৩৫০ মে.টন। কিন্তু এবছর একনাগাড়ে কয়েকদিন বৃষ্টির কারনে বিভিন্ন বিলে জলাবদ্ধতার কারনে ঘের তলিয়ে যাওয়া, আমন ধান চাষ করা নিয়ে শংকায় থাকলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কতৃপক্ষ। যেটাকে কৃষক মৎস্যচাষী এমনকি স্থানীয়রা ভালোভাবে দেখছেননা বিষয়টাকে। এবিষয় নিয়ে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন আমি সরেজমিনে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ঘুরে যেখানে যেখানে জলাবদ্ধতা আছে অতি দ্রæত পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা গ্রহন করছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ