1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের মৃত্যুতে দোয়া ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ অবলম্বন করায় ৯ সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার্থী গ্রেফতার রাজশাহী-১ আসনে নৌকার বিকল্প ভাবছে না ভোটারগণ পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভালুকা মুক্ত দিবস উদযাপন আফসার বাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমনে ভালুকা মুক্ত দিবস আজ রংপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হারাগাছ সাহিত্য সংসদের ২২ তম সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত আয়োডিনযুক্ত লবণের আইন ও সচেতনতার পাশাপাশি কার্যক্রম জোরদার করতে সভা অনুষ্ঠিত

মনোহরগঞ্জে নৈশপ্রহরী মাদকসহ গ্রেফতারের পরেও জামিনে ব্যবসা তুঙ্গে, খুঁটির জোর কোথায়?

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১০৮ ০৫ বার পঠিত

কুমিল্লা প্রতিনিধি -ঃ- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরসপুর ইউনিয়নের শাহাপুর ফাজিল মাদরাসার নৈশপ্রহরী ওমর ফারুকের মাদক ব্যবসা চলছে রমরমাহ, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, অভিযুক্ত ওমর ফারুক শাহাপুর গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চাকরির অন্তরালে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বলে সচেতন মহলে ধারণা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৮ জুলাই দুপুর ২টার দিকে শাহাপুর গ্রামে অভিযান চালায় কুমিল্লার ডিবি পুলিশ। এসময় ইয়াবা বিক্রয়কালে শাহাপুর ফাজিল মাদরাসার মেইন গেইটের সামনে থেকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন নৈশপ্রহরী ওমর ফারুক। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। কুমিল্লার ডিবি পুলিশের এসআই মোঃ সাইদুর রহমান বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন- করোনাকালে মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সে মাদরাসার আঙ্গিনাকে মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে রূপান্তর করেছেন।
প্রতিদিন রাতেই মাদরাসার আঙ্গিনা এবং ছাদে মাদকসেবীদের আড্ডা জমাতেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের পরোক্ষ সমর্থন থাকায় ওমর ফারুকের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে ভয় পায় স্থানীয় জনসাধারণ।
মাদকসহ গ্রেফতারের পর জামিনে এসে মাদকের কার্যক্রম আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও। তারা অভিযুক্ত ওমর ফারুককে স্থায়ী ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অত্র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি মিটিংএ আছি, পরে কথা বলবো।
এবং সভাপতি নুরু বিএসসি বলেন- আমরা এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এতদিন পর্যন্ত কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? জবাবে- প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলতে বলেন।

একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নৈশপ্রহরী এমন জঘণ্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকার পরেও দিব্যি কর্মরত থেকেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মাদকসহ গ্রেফতারের পরেও তার চাকুরী বহাল থাকে কিভাবে! বিষয়টি সবাইকে ধাবিত করে।

তার খুঁটির জোর কোথায়?

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ